‍‍`ভোটারদের ঘুম ভাঙে দেরিতে, তাই ভোট ৯টায় শুরু‍‍‍‍`


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৭:১৮ পিএম
‍‍`ভোটারদের ঘুম ভাঙে দেরিতে, তাই ভোট ৯টায় শুরু‍‍‍‍`

ভোটারদের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয় বলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাধারণ নির্বাচন ও শূন্য ঘোষিত বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ সকাল ৮টার পরিবর্তে ৯টায় শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

রোববার বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এসব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব এমন কথা বলেন।

ভোট ৮টা থেকে ৪টার পরিবর্তে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেনো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ভোটাররা ৮টায় ঘুম থেকে উঠে না। এ জন্য ভোটারদের সুবিধার্থে ভোটগ্রহণ সকাল ৯টা থেকে ৫টা করা হয়েছে।

সকালে ভোট হলে ভোটার উপস্থিতি কম দেখি। এটা বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়ে এ জন্য কমিশন ৮টা থেকে ৯টা করেছে বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটাররা কাদের দোষে ভোটকেন্দ্রে যান নাই, যারা যান নাই এটা তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন। তারাই ভালো বলতে পারবেন।

ইভিএমে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তাকারী হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা ভোট দেওয়ার গোপন কক্ষে অবস্থান করেছে। এটা প্রতিরোধে এবার কী ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে? জানতে চাইলে সচিব বলেন, এই ধরনের কাজ করার সুযোগ নাই। নির্বাচন করা একক কারো দায়িত্ব নয়। এটা নির্বাচন কমিশন, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন সেসব প্রার্থী, তাদের সমর্থক, ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবার সমন্বিত দায়িত্ব। সবাই যদি যার যার দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটার সুযোগ নাই।

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সব দলই অংশ নেবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে সচিব বলেন, 'আমরা সবসময়ই শতভাগ আশাবাদী। আশা করতে তো কোনো সমস্যা নাই। আমরা তো আমাদের দিক থেকে কোনো কিছু কম রাখি না।'

সচিব আরো বলেন, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ভোট করার জন্য যা যা দরকার কমিশন তা করবে। সকল ভোটারকে বলবে নির্ভয়ে, নিশ্চিতে আপনার যে অধিকার রয়েছে তা প্রয়োগ করবেন।

তফসিল ঘোষণা করে সচিব বলেন, চসিকে সাধারণ ও বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার), বাছাইয়ের দিন ১ মার্চ (রোববার), মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ২ থেকে ৪ মার্চ (সোম থেকে বুধবার), আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মার্চ (বৃহস্পতি থেকে শনিবার), প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ মার্চ (রোববার), প্রতীক বরাদ্দ ৯ মার্চ (সোমবার) এবং ভোটগ্রহণ ২৯ মার্চ (রোববার)।

গো নিউজ২৪/আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর